
'গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হবে কি না তা সরকার-রাজনৈতিক দল ঠিক করবে'
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হবে কি না তা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে বলে মনে করেন সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। জাতীয় সংসদের এলডি হলে প্রায় ১ মাস পর সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে তাদের দেয়া প্রস্তাবগুলো সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গুরুত্ব পাবে আশা প্রকাশ করেন আলী রিয়াজ।

সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐক্যই মূল চ্যালেঞ্জ
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের সম্ভাবনার পুরোটাই নির্ভর অন্তর্বর্তী সরকারের দক্ষতার ওপর। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে যতটা না চাপ বোধ করবে রাজনৈতিক দলগুলো, তা সহজ হবে জনমানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারলে। দেশের স্বার্থে গণঅভ্যুত্থানের মত করে প্রতিটি পক্ষকে এক থাকার পরামর্শ দেন তারা।

চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়া ঐতিহাসিক মুহূর্ত: ড. ইউনূস
রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে ভারসাম্য আনার মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ করে চারটি সংস্কার কমিশন। বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা জানান, চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সবপক্ষের সাথে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে ৬২ সংস্কার প্রস্তাব বিএনপির
সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে ৬২ জায়গায় সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। বিএনপির প্রস্তাবিত সংস্কারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান বাস্তবতায় প্রতিফলন ঘটবে বলেও প্রত্যাশা বিএনপির এই নীতিনির্ধারকের। অন্যদিকে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, সংবিধান সংস্কারে আগামী সপ্তাহ থেকে দেশব্যাপী জরিপ চালাবে তার কমিশন। আজ (মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবিধান সংস্কার বিষয়ক এসব প্রস্তাব জমা দেয়া হয়েছে।