আজ (রোববার, ২৪ নভেম্বর) ভোর রাতে মিরপুর ১১ এর একটি বাসায় ঘুমিয়েছিলেন খলিল রুমা দম্পতি। ভোর ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দগ্ধ হয় ৩ শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের রুমেও। সেখানে দগ্ধ হন আরো ২ জন।
দগ্ধ সবাইকে নিয়ে আসা হয় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। ডাক্তার জানায়, দগ্ধ হয়ে খলিলের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। এছাড়া সহধর্মিণী রুমার ২০ শতাংশ পুড়েছে। ৩ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে আব্দুল্লাহর শরীর পুড়েছে ৩৮ শতাংশ, মেঝো ছেলে মোহাম্মদের পুড়েছে ৩৫ শতাংশ ও ইসমাইলের শরীর দগ্ধ হয়েছে ২০ শতাংশ।
পাশের রুমের বসবাস করা স্বপ্নার শরীর পুড়েছে ১৪ শতাংশ ও শাহজাহানের শরীর পুড়েছে ৬ শতাংশ। চিকিৎসক বলছে শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় একটি কারখানায় এয়ার ফ্রেশনার রিফিল করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ১০ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, জরুরি বিভাগে আহতদের চিকিৎসা চলছে। তবে কার শরীরের ঠিক কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে সেটি এখুনি বলা যাচ্ছে না।