আজ (শুক্রবার, ২২ নভেম্বর) বিকেলে মেহেরপুরের ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ন্যূনতম সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে এই যৌক্তিক সময় কতদিন বা কত বছর তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগ সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর এড. রুহুল আমীন, মেহেরপুর জেলা নায়েবে আমীর মাহবুবুল আলম, সেক্রেটারি জনাব ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়া বলেন, ‘বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জামায়াতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের দলসহ সব দলের সাথে সংলাপ চলছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে তাদের সাথেই জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের চারদিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চারদিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজন। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জন আকাঙ্ক্ষার ওপর নির্ভর করবে।’
যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিগত ১৫ বছর যাবৎ দেশের নাগরিকদের ভোট দিতে দেয়নি। তারা দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। সর্বাগ্রে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে জন আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান দেখাবে।’