তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের কোনো মাস, ক্ষণ, দিন, বছর জামায়াত বেধে দেয়নি।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গতকাল জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের বিষয়ে আইডিয়া দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বলছেন ডিসেম্বর থেকে জুন। আমরা পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, জামায়াতে ইসলামী প্রথম থেকেই বলছে। নির্বাচনের কোনো মাস, ক্ষণ, দিন কখনো নির্ধারণ করে দেয় নি জামায়াতে ইসলামী।’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যখন প্রধান উপদেষ্টা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবেন তখনই করবেন। আমরা সে নির্বাচনে রাজি আছি। জামায়াতে ইসলামী সে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ২০১৮, ২০২৪ সালের মত যদি নির্বাচন হয় তাহলে সেটি দিয়ে লাভ নাই। ফলে টাইম ইজ নট ইম্পরট্যান্ট। ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে ইলেকশনটা নিরপেক্ষ হবে কী না।’
জুলাই আগস্টের আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন চায় জামায়াত বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করেই নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় পূর্বের মতো বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহায়তা করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মতো করেই কথা বলছেন ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়াদের কেউ কেউ। জামায়াত সাথে থাকলে সঙ্গী আর না থাকলে জঙ্গি বলেই।
তিনি বলেন, ‘মীমাংসিত বিষয়গুলো সামনে এনে বারবার জামায়াতকে বিতর্কিত করা হয়। প্রয়োজনে জামায়াতকে নিয়ে জোট করে সরকার গঠন করে। আবার মীমাংসিত বিষয় নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। এসবের মধ্য দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করা হচ্ছে, এগুলো আওয়ামী চরিত্র।’
ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।