২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় সরকার দলীয় প্রার্থী। বিএনপি-জামায়াতের মতো শক্তিশালী বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩৪টি আসন পায়। এরপর ২০১৮ সালে হয় বহুল আলোচিত 'মধ্য রাতের নির্বাচন'।
সর্বশেষ ২০২৪ সালে দেখা মেলে ডামি নির্বাচনের। তিনটি নির্বাচনেই সাধারণ মানুষ অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি বলে অভিযোগ আছে।
সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী অপরাধ পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং শাস্তির সুপারিশ করা হবে বলে জানালেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনারের ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। নির্বাচনী অপরাধগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি। অপরাধগুলো কীভাবে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। এটা যেন ভবিষ্যতে না হয় সেটার ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে।’
আজ (বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সাথে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে যোগ দিতে আগারগাঁও নিবার্চন কমিশনে আসেন বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকরা।
সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার সুপারিশ করেন পত্রিকার সম্পাদকরা। সেই সাথে সংরক্ষিত এসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা রাখারও মত দেন বক্তারা।
প্রথম আলোর উপ সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘যিনি যেই এলাকার বাসিন্দা তিনি সেই এলাকার প্রতিনিধিত্ব করবেন। ঢাকায় থেকে অন্য জায়গায় প্রতিনিধিত্ব করবেন আমি মনে করি এইটা ন্যায়সংগত নয়।’
জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার প্রস্তাব আসে বৈঠকে।
সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক না কেন যদি কোনো রাজনৈতিক দল সরকারে থাকে তাহলে তারা তাদের মতো করে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।’
প্রবাসী ও সাংবাদিক যারা নির্বাচনের সময় ভোট দিতে পারেন না, তারা কীভাবে সহজে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। তাদের প্রবেশাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
এদিন দুপুরে নিবার্চন পর্যবেক্ষকদের সাথেও বৈঠক করে নিবার্চন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।