দেশে এখন
0

কুমিল্লায় এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বন্যাদুর্গতরা

এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি কুমিল্লার বন্যাদুর্গতরা। সহায়তার অভাবে অনেকেই মেরামত করতে পারেননি ভাঙা ঘর। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

বন্যার আড়াই মাস পেরোলেও এখনো বিধ্বস্ত পড়ে আছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ইন্দ্রবতী গ্রামের বিউটি রানী দাসের ঘর। আর মাটির ভিটে প্রস্তুত করে ঘরের অপেক্ষায় সীমা রানী সরকার। বন্যায় সহায়-সম্বল হারানো এই দুই নারী এখন আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়িতে। তাদের মতো একই অবস্থা বহু পরিবারের।

নিজেদের ভাঙ্গা ঘরের সামনে বিউটি রানী দাস ও সীমা রানী সরকার

এ অঞ্চলের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বুড়িচং, মনোহরগঞ্জসহ ১৪ উপজেলার ৮২ হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া সড়ক, মৎস্য, কৃষি খামারসহ সব মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে শুধু বুড়িচংয়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব অন্তত আট হাজার পরিবার।

সরকারিভাবে ১ লাখ ৯১ হাজার বান টিনের চাহিদা থাকলেও মিলেছে মাত্র ৪০০ বান। এমন অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবারও চিঠি পাঠানোর কথা জানান জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা।

কুমিল্লার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন এনজিও এবং দাতা সংস্থারা কাজ করছে। যেহেতু শুরু হয়ে গেছে সঙ্গে আমরাও আবার ডিমান্ড পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে আমরা দ্রুত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারব।’

গোমতি নদীর ভাঙ্গা বাঁধ

এদিকে ধীরগতিতে চলছে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে গোমতী নদীর ভাঙা বাঁধ মেরামতের কাজ। ২২ আগস্ট রাতে উজানের ঢলে কুমিল্লার বুড়বুড়িয়া বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় বুড়িচংসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলা। বন্ধ হয়ে যায় সড়কে যান চলাচল। এর পর থেকে বিকল্প পথ দিয়ে যাতায়াতে অপচয় হচ্ছে সময় ও অর্থ।

এএম