সাভারের আশুলিয়ার সবচেয়ে বড় বাইপাইল কাঁচা বাজার আড়ত। নিষিদ্ধের ঘোষণার পরও হাঁক ডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে পলিথিন। সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই প্রতিদিন এই আড়তে বিক্রি হচ্ছে কয়েক মণ পলিথিন।
সাভারের বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায় সব জায়গায় স্বাভাবিক গতিতেই হচ্ছে পলিথিনের ব্যবহার। ক্রেতা-বিক্রেতা ও সচেতন মহল বলছে বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই পলিথিন ব্যবহার করছেন তারা।
পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারে সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও সাভারে দেদারসে চলছে পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার। এতে গেল কয়েকদিনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পলিথিন সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতরা। যদিও উপজেলা প্রশাসন বলছে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, থাকবে অব্যাহত।
সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুবকর সরকার বলেন, ‘উপজেলাতে যেসব বাজারগুলো রয়েছে আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পলিথিন বন্ধের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখা হবে।’
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনা করে ২০০২ সালে থেকে একাধিকবার পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেও সরকার এখনো পর্যন্ত পলিথিন ব্যবহারে লাগাম টানতে পারেনি। সাধারণ মানুষ বলছে পলিথিনের বিকল্প সহজলভ্য হলে সম্ভব এর থেকে উত্তরণ।