অপরাধ ও আদালত
দেশে এখন
0

নতুন কর্মকর্তা নিয়োগে মামলা বাণিজ্য ও হয়রানি কমে আসবে : আইন উপদেষ্টা

জুলাই-আগস্টের গণ আন্দোলনের মুখে অনেক আইন কর্মকর্তা পালিয়ে গেছে। নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে মামলা বাণিজ্য ও হয়রানি অনেকটাই কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দেশকে অস্থিতিশীল করতে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস করে নেতাকর্মীদের উসকানি দেয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ড. আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ আন্দোলনের মুখে অনেক আইন কর্মকর্তা পালিয়ে গেছেন। তাই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ৪ হাজার ৩০০ আইন কর্মকর্তা।

কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে আইন ও বিচার কার্যক্রমে গতি বাড়বে বলে মনে করেন আইন উপদেষ্টা। কমে আসবে মামলা বাণিজ্য ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ নিয়োগের সুফল বা লাভ হচ্ছে, এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। এখন ঢালাওভাবে মামলা করা হচ্ছে, এটা কিন্তু সরকার করছে না। ব্যক্তি পর্যায়ে এগুলো করা হচ্ছে। মূলত মামলা নামে যে বাণিজ্য ও হয়রানি করা হচ্ছে এবং যারা এই হয়রানি ও শত্রুতামূলক মামলা বাণিজ্যের শিকার হচ্ছেন, তাদের জন্য বিরাট একটা প্রতিকারের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, পতনের দুই-তিন দিন আগে নিজের পরিবার, আত্নীয়-স্বজনদের পাঠিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনাও পালিয়ে গেলেন। আর এখন দেশকে অস্থিতিশীল করতে ফোনালাপ ফাঁস করে নেতাকর্মীদের উসকানি দেয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনা কেন না বলে পালিয়ে গেলেন, তার কাছেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জবাব চাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি সত্যি এগুলো উনার কনভারসেশন হয়ে থাকে, তাহলে এগুলো দেশকে অস্থিতিশীল ও ষড়যন্ত্র করার পাশাপাশি মানুষকে প্ররোচিত, উত্তেজিত, ও বিভ্রান্ত করার জন্য করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত কেন তিনি তার পরিবারকে নিয়ে কাউকে না জানিয়ে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু এখন কেন নেতাকর্মীদের উসকানি দিচ্ছেন।’

আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেশি বিদেশি আইন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগেও আইন হচ্ছে সপ্তাহখানেকের মধ্যে। পরবর্তী বিচারক নিয়োগ হবে এ আইনের অধীনে। তবে কারো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না বলে জানান তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আমাকে জানিয়েছেন উনাদেরও এমন একটা আইন করার উদ্যোগ রয়েছে, যাতে আমরা উচ্চ আদালতে যোগ্য, দক্ষ, সৎ বিচারক পাই। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছি, যা আমাদের প্রধান এজেন্ডা ছিল। এর পরে চিফ প্রসিকিউটরসহ ১১ জন প্রসিকিউটরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্পেশাল প্রসিকিউটরাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়োগ প্রাপ্ত হচ্ছেন।’

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে বিগত আওয়ামী সরকারের দায়ের করা ফৌজদারি, সন্ত্রাস দমন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা-হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথাও জানান আইন উপদেষ্টা।

এএম