প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বন্দনার গল্প ও ছবি স্থান পায়। বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, পৌরনীতি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে চাপিয়ে দেয়া হয় পরিবারতন্ত্রের গল্প। গত ১৬ বছরে এভাবেই ইতিহাসের নামে রাজনৈতিক প্রচারণা চালায় আওয়ামী লীগ।
অথচ বাংলাদেশের ইতিহাসের পেছনে আছে আরও বহু মানুষের অবদান। মাওলানা ভাসানি, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকদের ইতিহাস তুলে ধরারার আহ্বান জানান শিক্ষা গবেষকেরা।
এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ, শহীদদের জীবনী, আহত, নির্যাতনের ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তাদের।
আজ (শনিবার, ১৬ নভেম্বর) জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে আয়োজিত, শিক্ষা অধিকার সংসদ এর প্রস্তাব নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষাবিদরা বলেন, বিশেষজ্ঞদের দ্বারা কমিটি গঠনের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক উন্মুক্ত করে সবার মতামতের ভিত্তিতে নতুন শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করতে হবে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে যেন উপ ইতিহাস হিসেবে উপস্থাপন করা না হয়।’ পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সদস্য বলেন, ২৬ সালে নতুন ধারার শিক্ষানীতিতে ২৪ এ-র ইতিহাস সংযোজন করা হবে।
আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'আমাদের তরুণদেরকে ইতিহাস মেকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।'
এসময় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুকে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। বইয়ের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল ছিল না।