অভ্যুত্থানের ১০০ দিন পেরিয়ে নতুন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সামনে ঐতিহাসিক নজির স্থাপন করেছে৷ উত্তাল জুলাইয়ে প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের স্মৃতিচিহ্ন হয়ে আছে ঢাকার রাজপথ ও দেয়াল। এসব দেয়ালচিত্র থেকে তারুণ্যের ভাবনা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখতে বিদেশিদের আহ্বান জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রদ্ধা জানান আহত ও শহীদদের প্রতি।
আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষায় ৮০ দেশের ২ শতাধিক আলোচক নিয়ে রাজধানীতে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৪ উদ্বোধন করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটাতে ১৫শ' শহীদ ও ২ হাজার আহত হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা, নকশাকার ও অর্থায়ন ছিল না। মৃত্যু উপত্যকায় তারুণ্য প্রতিরোধের শক্তি হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২৭ বছরের নিচে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী দেশের মূল শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন ড. ইউনূস। বলেন, বিশ্বাস ও সাহস যুগিয়ে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করলে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন সম্ভব।
আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষায় সহযোগী দেশগুলোর সাথে একযোগে কাজ করার বার্তা দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, 'বর্তমান সভ্যতা স্ববিরোধী অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। সম্পদ আহরণের প্রতিযোগিতা থেকে বেড়িয়ে জনগণের সমস্যা সমাধান, বেকারত্ব দূর ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে।'