দেড় বছর আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাব দেয় বিএনপি। যেখানে সংসদ, সংবিধান, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল পরিবর্তনের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর সে ৩১ দফা আবারো আলোচনার টেবিলে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর) ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। যেখানে ৩১ দফার সংযোজন, বিয়োজন তুলে ধরে যুগপৎ আন্দোলনের দলের নেতৃবৃন্দ। বলেন, বিএনপির বিচক্ষণতার উপর বাংলাদেশের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্ভর করে বলে উল্লেখ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'বাংলাদেশ এখন ইউনিপোলের পলিটিক্সের মতো হয়ে গেছে। কারণ আওয়ামী লীগ তো নাই। আর যদি আসেও বিএনপির ধারের কাছেও দাঁড়াতে পারবে না।'
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, 'গণতন্ত্র মাইন্ডসেটে থাকতে হয় যেখানে আমি বিশ্বাস করি যে আমি সবাইকে নিয়ে কথা বলবো।'
এসময় জামায়েত, এবি পার্টি ও গণফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই বাংলাদেশকে গড়তে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিবর্তন জরুরি বলেও উল্লেখ করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের দলগুলোরও। নতুন যে প্রস্তাব দেয়া হবে, এর সঙ্গে ৩১ দফা মিলে যাবে।
তিনি বলেন, ‘৩১ দফা শুধু বিএনপির নয় এইটা সম্মিলিত সবার দফা। যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের দলগুলো একমত হয়ে ৩১ দফা আন্দোলন করেছিলাম।’
শেষে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়া হবে সবাইকে নিয়ে।
তিনি বলেন, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য কেবল ক্ষমতায়ন নয়। রাষ্ট্রীয় ও জনগণের উন্নয়ন একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসলে, নতুন কোন স্বৈরাচার তৈরি হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, পরপর ২ বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উৎসাহ দিতে আধুনিকতাকে। সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের চিন্তাধারাকে আলিঙ্গন করে নিতে হবে।’
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ধর্ম, দল ও মত যার যার তবে রাষ্ট্র সবার। যে ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল বিএনপি তা নির্মূল করবে।