অন্যদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন জবি উপাচার্য ড. রেজাউল করিম।
এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা গণপদযাত্রায় সচিবালয় অভিমুখে রওনা দেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন। বেলা ১২টার দিকে গণপদযাত্রা সচিবালয়ে পৌঁছায়।
আন্দোলনের মুখপাত্র জবি শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান গণমাধ্যমের কাছে জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ৩ দিনের আলটিমেটাম দেয়া হবে। পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
গণপদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি জানানো হয়। প্রথমত, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ‘দুর্নীতিবাজ’ প্রকল্প পরিচালককে আইনের আওতায় আনা এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ দিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে- এমন ঘোষণা আসতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে।
এছাড়া তৃতীয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা জানায়, অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
পরে বিকেল ৩টার দিকে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জুলাই বিপ্লবের পর থেকে এখনো কেন দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে থাকতে হচ্ছে, সেজন্য দু:খ প্রকাশ করছি। প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া দ্রুত মেনে নেয়া।’
শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ ৩ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘একনেকে আমাদের মিটিং হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে ক্যাম্পাসের জায়গা এক ইঞ্চি জেনে না কমে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে সচিবালয় এলাকা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কয়েকটি সড়ক মুখে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জবি উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’