গত (মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর) সকাল থেকে চোখের পলকে এভাবেই কারো গাছ পালা, কারো বাড়ি ও কারো বসতভিটা হয়েছে। নিঃস্ব হয়েছে ১৫ পরিবার। কোথায় তাদের একটু ঠাঁই হবে তাও জানা নেই তাদের।
সম্প্রতি নাগরপুর থেকে সদর উপজেলার চরপৌলি পর্যন্ত বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বাঁধের চরপৌলি অংশে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এছাড়া যমুনা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার পর বাল্কহেডগুলো পাড় ঘেঁষে যাতায়াত করায় সৃষ্টি হয়েছে ভাঙনের পরিস্থিতি। ভাঙনের কবলে এ পর্যন্ত চরপৌলির আড়াই হাজারের বেশি বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। সরকারি নজরদারির পাশাপাশি স্থায়ী বেরিবাঁধ চান তারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না করা হলে আসন্ন শীতে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগ চরমে উঠবে। তবে, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। খোঁজ নিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চার মাস আগে এখানে বস্তা ফালানো হলেও তখন ভালোভাবে পর্যাপ্ত বস্তা ফালানো হয়নি, এজন্য বাঁধটি ভেঙ্গে গিয়েছে। এখন আমরা এর সংস্কার চাই।’
টাঙ্গাইলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমাদের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে সহযোগিতার সুযোগ থাকলে আমরা তা অবশ্যই করবো।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙনের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। কী ব্যবস্থা নেয়া যায় এ নিয়ে হেডকোয়ার্টারে আলোচনা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ভাঙন সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেব।’
ভাঙনে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, গোপালপুর ও নাগরপুরের নদী তীরবর্তী বহু এলাকা হারিয়ে গেছে মানচিত্র থেকে।