শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত তিনটার বাহুবল উপজেলায় মহাসড়কে একটি ট্রাক ও লন্ডন পরিবহণের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হন, যাদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় মহাসড়কের দুইপাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। সকাল ছয়টার দিকে মহাসড়কের উপর থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দু'টিকে সড়িয়ে নিলে তিন ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এদিকে বাহুবল থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো অলিপুর এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কের খারাপ অবস্থার কারণে ধীরগতিতে চলাচল করে। সেই সাথে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক বহনকারী গাড়ির অতিরিক্ত চাপ যুক্ত হওয়ায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করে। সকাল হওয়ার সাথে সাথে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। যানজটের কারণে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
মহাসড়কে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আব্দাল মিয়া নামে একজন বলেন, 'আমি জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম, কিন্তু রাত থেকে এই যানজটে আটকে আছি। কোনো সুরাহা হচ্ছে না। গাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে।'
আরেক যাত্রী শাহানা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'বুঝি না কেন এই যানজটের কোনো সমাধান হচ্ছে না। এখানে কোনো পুলিশ বা ট্রাফিক কর্মীর দেখা মিলছে না। রাত থেকে গাড়িতে বসে আছি, ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।'
অপরদিকে, এক ট্রাক চালক ফজর হোসেন বলেন, 'গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে কিছু করার উপায় নেই। রাস্তা ঠিক না করা হলে এমন সমস্যা চলতেই থাকবে। এই পথের নিয়মিত যাত্রী হিসেবে আমি এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি প্রায়ই হই।'
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম বলেন, 'যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। তবে সড়কের অবস্থা খারাপ থাকায় এবং কিছু দুর্ঘটনা পরবর্তী জটিলতার কারণে যানজট আরও দীর্ঘ হয়েছে।'