দেশে এখন
0

দেশের ৬২ লক্ষ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে

সিলেটে পাবে সিলেটে ২ লাখ ৪ হাজার ২০০ জন

জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় মাসব্যাপী জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত মোট ১৮ দিন এ ক্যাম্পেইন চলবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটির ১০–১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ টিকা প্রদান করা হবে।

১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও জন্মনিবন্ধন বিহীন কিশোরীদের হোয়াইট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০দিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এবং পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে।

জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আজ (শনিবার, ১৯ অক্টোবর) সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট। শিশু-কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের অধীনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. গোলাম আজম জানান, বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারের পর নারীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগ জরায়ুমুখের ক্যান্সার। দেশে প্রতিবছর নতুন করে ৮ হাজার ২৬৮ জন নারী এই রোগে আক্রান্ত হোন এবং বছরে মারা যান অন্তত ৪ হাজার ৯৭১ জন।

তিনি বলেন, ‘জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। এটি কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত। তাই কোন কিশোরী যাতে এ টিকা থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হবে।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, জেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সরকারি চিকিৎসালয়েও এই সময় টিকাদান কার্যক্রম চালু থাকবে।

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও, ইউনিসেফের সিলেটের অফিস প্রধান কাজী দিল আফরোজা, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।

এএইচ