সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আজ (শনিবার, ১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা, দ্রব্যমূল্য ও আইন ব্যবস্থা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য একটি লিখিত প্রস্তাব গণফোরাম থেকে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার পাশাপাশি অর্থ পাচারকারীদের সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার দাবি জানানো হয়েছে।’
এই দফায় গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
এরপর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপির সাথে বৈঠকে বসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে, নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে দলটি। বৈঠক শেষে কর্নেল অলি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ও হত্যাকারীদের বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে, কোনোভাবেই তার আগে নয়।’
এলডিপি প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বলেন, ‘আজ আমরা ২৩টা প্রস্তাব দিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যা প্রয়োজন প্রস্তাবে সেগুলো রয়েছে।’
আজ বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অলি আহমেদ বলেন, ‘আগামীতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন, সুন্দর প্রশাসন চালানোর জন্য, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য, দ্রব্যমূল্যের জন্য মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমাদের প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আজ অধ্যাপক ইউনূস আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে গত ৫ অক্টোবর থেকে নতুন দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন তিনি, যেখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) বেশ কয়েকটি বড় দল অংশ নেয়। মাঝে পূজার ছুটির কারণে আলোচনা বন্ধ থাকে।