এই আয়োজন শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর। এবার মর্ত্য থেকে দেবীর কৈলাসে ফেরার পালা।
তিথি অনুযায়ী, পূজা-অর্চনা আগেরদিন শেষ হওয়ায় ঘট বিসর্জন হয় আজ (রোববার,১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকেই। ঘট বিসর্জনের পর দেবীর চরণে সিঁদুর-আলতা আর সুগন্ধি চন্দন, উলুধ্বনি দিয়ে দেবীকে বরণ করে তার পায়ে সিঁদুর ছুঁইয়ে হয় দশমীর মূল আকর্ষণ সিঁদুর খেলা। এই আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন বিবাহিত নারীরা। এরপরপরই সিঁদুরের রঙে রাঙিয়ে দেন একে অপরকে। মেতে উঠেন আনন্দে।
ভক্তদের মধ্যে একজন জানান, মায়ের পায়ের সিঁদুর নিয়ে আমাদের সিঁথিতে লাগায়। যাতে আমাদের স্বামীদের দীর্ঘ আয়ু হয়।
আরও একজন জানান, শুধু মা আমাদের ভালো রাখুক, দেশ ভালো রাখুক। সবাইকে মিলেমিশে রাখুক।
শাস্ত্র অনুযায়ী, ব্রহ্মার বর পেয়ে মানুষ ও দেবতাদের বিপদে অজেয় হয়ে উঠেছিলেন মহিষাসুর। তাকে পরাজিত করতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর যে মহামায়ারূপী নারী শক্তি তৈরি করেন, তিনিই দেবী দুর্গা। মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত যুদ্ধের পর জয় পেয়েছিলেন দুর্গা। সেই জয়ের কারণেই এই দিনকে বলা হয় 'বিজয়া দশমী'।
দেবীপক্ষের সূচনার পর থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অধীর অপেক্ষায় থাকেন পঞ্চমী তিথির। যার মাধ্যমে শুভ সূচনা হয়েছিলো এবছরের শারদীয় দুর্গোৎসবের।
এবার তিথি অনুযায়ী প্রায় প্রতিদিনই ছিল একই সাথে দুটি তিথি। এরপর একে একে কেটে গেছে ষষ্ঠী- সপ্তমী, সপ্তমী-অষ্টমী, অষ্টমী-নবমীর এবং সবশেষ নবমী-দশমী তিথি।