বুকের মানিককে হারিয়ে দিশেহারা মা। কেউবা হারিয়েছেন বলার ভাষাটাও।
তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্ন, হারিয়ে গেছে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকালে। শেখ হাসিনা সরকারের বল প্রয়োগে প্রাণ গেছে শতাধিক শিশুর।
রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে, বিশ্ব শিশু দিবসের এক অনুষ্ঠানে সোমবার, গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১০৫ জন শিশুর পরিবারকে শহীদ সম্মাননা দেয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় ৫০ হাজার টাকার চেক।
গণহত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান অভিভাবকরা।
এসময় মহিলা ও শিশু উপদেষ্টা বলেন, অন্ধকার থেকে দেশকে মুক্ত করতে তরুণ প্রজন্মের এ আত্মত্যাগ কখনো ভোলা যাবে না।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, 'ওরা আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে ত্যজ্জ করেছে। ওরা বলে দিয়েছে তোমরা ভুল, তোমরা অন্যায় করছো। আমরা এই অন্যায়কে গ্রহণ করছি না। তারা মাঠে নেমে গেল, তারা জীবন দিল।'
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেন শিশু উপদেষ্টা।
শারমীন এস মুরশিদ আরও বলেন টাকার স্তূপ করেছি, দেশটাকে নিঃস্ব করেছি। চুরি করেছি, ডাকাতি করেছি । সব বিদেশে পাচার করেছি। বাচ্চাদের বিদেশে পাচার করেছি। একটা নিঃস্ব দেশ ফেলে এখন পালিয়েছি হোক দেশটাকে পরিষ্কার করি। একদম সবকিছু ধুয়ে মুছে দেশটাকে এখন পরিষ্কার করি এবং নিজের ভালোবাসা দিয়ে দেশ টাকে পরিষ্কার করি।
শিশুদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ইউনিসেফ, বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান সংস্থাটির ডেপুটি কান্ট্রি প্রধান।