তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বারবার আন্দোলন করে রক্ত দিয়েছে কিন্তু সহজভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সমাধান হয়নি।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটি এতদিন ছিল না। তাই বিগত সরকারকে সরাতে গণঅভ্যুত্থান প্রয়োজন ছিল। ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটি কীভাবে গণতান্ত্রিক হবে তা নিশ্চিত করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'হিংস বা প্রতিহিংসার রাজনীতি যাতে ফিরে না আসে, সেই ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরবর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর কেমন হবে সেটার একটি সুস্পষ্ট পথ আমরা তৈরি করতে চাই।'
ফরেন পলিসি তে ঐক্যমত্যের প্রয়োজন। দলের পরিবর্তনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় সেটার একটি সুষ্ঠু সমাধান জরুরি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় অর্থনীতি কীভাবে গড়ে তোলা যায় , শিক্ষা স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কি হবে তা ভাবতে হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সরকার সাংবিধানিক বা বিপ্লবী সরকার নয়, একটি অন্তর্বর্তী সময়ে কাজ করছে সরকার। ফলে এই সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।'
সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে এই সাহস তারা বিগত সরকারের আমল থেকেই পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সাম্প্রতিককালে যারা সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছে বিধি অনুযায়ী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।'
এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের আলোকে জানুয়ারির শুরুর দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
রাজনৈতিক দলগুলো পরবর্তীতে সংস্কার ব্যবস্থা ধরে রাখবে কিনা সেটা বড় প্রশ্ন বলেও জানান মাহফুজ আলম।