বাদলের জলধারা তাদের স্পর্শ করেনি। নগরীর তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষগুলো রাস্তায় দাঁড়ান প্রিয়জন হত্যার বিচার চাইতে।
দুই মাস আগেও সন্তান, ভাই, স্বামী কিংবা স্বজনদের সাথে কতশত সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। কিন্তু জুলাই বিপ্লব এই পরিবারগুলোকে এনে দিয়েছে বিষাদ আর হাহাকার।
অভ্যুত্থানের দুই মাস পার হলেও কোন বিচার না পাওয়ায় বিষাদকে দ্রোহে রূপান্তর করে প্রাণে শক্তি আর ভাবনায় শহীদ পরিবারের গৌরব নিয়ে স্বজন হত্যার বিচার চাইছেন তারা। তাইতো জাতীয় নাগরিক কমিটির ডাকা সমাবেশে শনিবার শাহবাগে আসেন স্বজনরা।
সমাবেশে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসার দাবি জানান বক্তারা।
অভ্যুত্থানের দুই মাস পার হলেও অভিযুক্তদের দৃশ্যমান বিচার না করায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা দেখছেন বক্তারা। বক্তারা বলেন শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হয়েছে।
শুধু কি বেইমানি? জুলাই বিপ্লবের শহীদদের নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ করেন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান রাখবো আগের সরকার ভারতের সাথে যে নতজানু নীতিতে ছিল, এই সরকার, গণঅভ্যুত্থানের সরকার ভারতের সাথে নতজানু নীতিতে থাকতে পারে না। এ সরকারকে দিল্লীর যে নীতি আছে সেটির বিপরীতে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে।’
যতই দিন গড়াচ্ছে ততই শঙ্কা বাড়ছে জুলাই-আগস্টে ঘটা গণহত্যার বিচার, আহতদের সু-চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিয়ে।