বন্যায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহের বোরাঘাট ও নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে বসতবাড়িতে, নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র। সব মিলিয়ে ভোগান্তিতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
প্লাবিত হয়েছে ধোবাউড়ার নিম্নাঞ্চলও। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই উপজেলার ৩২ হাজার মানুষ। ৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৫শ'রও বেশি মানুষ। পৌর এলাকার এখনো অনেকে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, 'সব জায়গায় পানি। কোথাও আশ্রয়কেন্দ্র নেই যে সেখানে আশ্রয় নিবো।' আরেকজন বলেন, 'একদিনের বৃষ্টিতে এমন বন্যা হয়েছে। এমন বন্যা আমরা ৪০ বছরে দেখি নাই।'
পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলা অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি ঢুকে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। দুর্ভোগ বেড়েছে রোগী ও স্বজনদের।
এদিকে শেরপুরে প্লাবিত হয়েছে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার শতাধিক গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৪ ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে ১৭ হাজার হেক্টর জমির ফসলি খেত। বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকট।
বাসিন্দাদের আরেকজন বলেন, 'শুকনা খাবারের খুব অভাব। সবাই না খেয়ে আছে রান্না করার মতো অবস্থা নেই।'
বন্যার্তদের উদ্ধারে বিজিবি সদস্যরা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমান। বলেন, 'শেরপুরে প্লাবিত হয়েছে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলা যেখানে বেশি বন্যা হয়েছে। আমরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি। নারী ও বৃদ্ধ মানুষকে উদ্ধার করে তাদেরকে ক্যাম্পের কাছাকাছি নিয়ে আসছি।'
গেল বুধবার রাতে শেরপুরে বন্যাদুর্গত এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা। এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য ৫ হাজার প্যাকেট খাবার প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।