আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর ঢাকা-নয়াদিল্লী সম্পর্ক কোন দিকে যাবে সেই নিয়ে চলে আলোচনা। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ গুরুত্ব পায়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে বেশ কয়েকদফা বৈঠক হয়। দুপক্ষ থেকেই দুদেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার বার্তা দেয়া হয়। এরপরও বন্যা, ইলিশ ইস্যুসহ নানা বিষয় ঘুরে ফিরে আসে।
সবশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের বরাত দিয়ে জানানো হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মেডিকেল ও অতি জরুরি ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না ভারত। এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানালেন, ভিসা জটিলতা কেটে যাবে দ্রুত। শুধু তাই নয়, নভেম্বরেই বিমসটেক সম্মেলনে ইউনূস-মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ স্থাপন ও পারস্পরিক যেই কনসার্ন রয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো। ভিসা যারা দিচ্ছিলেন তাদের অনেকেই ভারতে চলে গিয়েছেন তাদের ফ্যাসিলিটি এখনো সৃষ্টি হয়নি। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক আটকে রাখার কিছু নেই। তাদের সাথে আমাদের একধরণের সম্পর্ক বজায় ছিল।’
এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো জানান, ব্যবসাবাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি দুদেশের সম্পর্ক আরে দৃঢ় করতেই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৫৮ সদস্যদের প্রতিনিধি দল সংক্ষিপ্ত সফরে আসছে বাংলাদেশে।
সংবাদ সম্মেলনে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার ১২টি সভা ও ২৫ টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের গঠনের পরিকল্পনা বিশ্বের সামনে তুলে ধরাই ছিল এবার জাতিসংঘ সফরের সাফল্য। যেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ড ইউনূসকে সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বনেতারা।