রাজনীতি
দেশে এখন
0

নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশলী অবস্থান

আগামী দেড় বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্য নিয়ে কৌশলী অবস্থানে রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি বলছে, দ্রুততম এবং যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করার ব্যাপারে মত দিচ্ছেন অনেকে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি জামায়াতে ইসলামী।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং বিতর্কিত নির্বাচনী ব্যবস্থা জোরেসোরে যে ধাক্কা খেয়েছে, তার চূড়ান্ত ইতিবাচক ফল দেখার অপেক্ষায় এখন গোটা জাতি। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশপাশি আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ এবং কবে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই আলোচনার মধ্যেই নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সেনা প্রধানের বক্তব্য, নতুন করে মোড় নিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি।

বিদেশি এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, 'রাষ্ট্র পরিচালনা ও নির্বাচন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যেসব কাজ করছে, তাতে পূর্ণ সমর্থন দিবে সেনাবাহিনী। যাতে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে একটি নির্বাচন হতে পারে।

দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে ইঙ্গিত দিলেন সেনা প্রধান, তা নিয়ে কি ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপির অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে, তারা এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চায়। তবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যও নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে চাইছে না দলটি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'এটাতো আমরা শুনলাম এখন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দল হয়তো কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে পারে। আমরা সে সময় অপেক্ষা করবো দল কীভাবে বলে। আমার মনে হয় যে বেশি যেন প্রলম্ভিত না হয়। সেনাবাহিনীর প্রধানের সাথে কথাবার্তা বলে সবকিছু বিবেচনা করে যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে হতে হবে এমন না, কিন্তু যাতে বেশি দীর্ঘায়িত না হয়।'

নতুন নিবন্ধন পাওয়া এবি পার্টির মতে, দেড় বছর একটি যৌক্তিক সময়।

তবে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীর মতে, রাষ্ট্র সংস্কারে কী পরিমান সময় লাগবে তার রোডম্যাপ ঠিক করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, 'সময়সীমা এখনই আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছি না। আমরা বার বার বলেছি নির্বাচনের বিষয়টি অংশীজনের সাথে আলোচনা মধ্যে ঠিক করা উচিত এবং সেটাও নির্ভর করবে সুনির্দিষ্ট কাজগুলো নির্ধারিত হওয়ার পর। সংবিধান কীভাবে গণতান্ত্রিক হিসেবে পরিনত হবে সেটার প্রক্রিয়াটা কি হবে এইসব আলাপ আলোচনার মধ্যে এই সময়সীমাও নির্ধারণ হবে। এক থেকে দেড় বছর এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনের চেষ্টা করাটাই কাঙ্ক্ষিত হবে।'

এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণে এখন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে দলটির অবস্থান কি! এ বিষয়ে এখনো জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।