সকাল ৬টা থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি চলছে। শুক্রবার ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র–জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধ কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হয়।
তবে সকাল থেকে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকাসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বান্দরবান থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার সব বাস। এছাড়াও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যেমন রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি সড়কেও যথাসময়ে বাস ছেড়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে রাঙামাটিতে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। এতে, অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা থেকে অন্য জেলায় কোনো দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে অল্পকিছু ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে। জেলার দোকানপাট খোলা রয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না মানুষ।
রাঙামাটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এখনো মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাটেনি। জেলা প্রশাসনের শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শহরে মোতায়েন করা রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে রাঙামাটিতে আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। গতকাল (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকেন তাঁরা। গতকাল (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক সমিতি।
এদিকে গতকাল (২০ সেপ্টেম্বর) অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বান্দরবানে পাহাড়ি-বাঙালি নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের শান্তি আলোচনা হয়। জেলা প্রশাসক বান্দরবানের শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।