প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ। প্রশিক্ষণে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ভয়েসের উপ-পরিচালক, মুশাররাত মাহেরা।
এছাড়া ইন্টারনেট শাট ডাউনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ডিজিটাল রাইট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার, এনগেজ মিডিয়ার রেজওয়ান ইসলামসহ প্রমুখ।
উপ-পরিচালক মুশাররাত মাহেরা বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি ইন্টারনেট শাটডাউনের ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সরকার নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেট বন্ধ করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচি, গণআন্দোলন, ধর্মীয় বিবাদের প্রসার, অপতথ্যের বিস্তার রোধ, পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন রোধ, বা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে সরকারের স্বার্থরক্ষায়ও ইন্টারনেট বন্ধ করার মত হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনের সময় বা আগে, প্রতিবাদ সমাবেশ বা বিক্ষোভ সামাল দিতে, এবং এমনকি বিকল্প মতামত প্রকাশ ও প্রচার ঠেকাতে ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায় যা গণতান্ত্রিক চর্চার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।’
সেন্সরশিপ এবং বিভিন্ন উৎস ও সোর্স নিয়ে আলোচনা করেন ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞ আশরাফুল হক। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে ইন্টারনেট বন্ধের আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা, ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে কীভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রভাবিত করে সে বিষয়ে কথা বলেন সাইমুম রেজা তালুকদার।
ইন্টারনেট সেন্সরশিপের ফল সম্পর্কে গবেষণা উপাত্ত ও এর প্রভাব নিয়ে বক্তব্য রাখেন ডিজিটাল রাইটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মিরাজ চৌধুরী। ইন্টারনেট বন্ধের সময় ও পরে সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন রেজওয়ান ইসলাম।