সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই চট্টগ্রামের কাজির দেউরিতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢল নামে নেতাকর্মীদের। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশস্থল।
সমাবেশ ঘিরে রংপুরের কালেক্টেড মাঠ কানায় কানায় পূর্ন হয়। এসময় নেতাকর্মীদের সংগঠিত থাকার আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার অধিকার নেই।
পূর্বনির্ধারিত সময়ে শুরু হয় খুলনার বিভাগীয় সমাবেশ। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাককর্মীরা আসেন খুলনার সমাবেশস্থলে। নেতা কর্মীর মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে, হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাতকা নিয়ে সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ছিলেন।
বিকেল ৩টায় সিলেট ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টা নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপিসহ ৬৩ রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। তাই গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে অন্তবর্তী সরকারকে দ্রুত রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান তারা।
দিবসটি উপলক্ষে ময়মনসিংহে সার্কিট হাউস মাঠ থেকে শুরু হয় বিএনপির শোভাযাত্রা। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন নেতাকর্মীরা। এসময় নেতাকর্মীরা বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ যেভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে তা টিকিয়ে রাখতে সবাইকে কাজ করতে হবে। এছাড়া রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জাজানন তিনি।
সকাল থেকেই জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে মিছিল নিয়ে বরিশালের বিএনপির সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর স্বতস্ফুর্ত ভাবে সমাবেশে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নেতাকর্মীরা। বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ। তাই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনকে সে অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্র সংস্কার করে জনগনের অধিকার ও জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে বলেছেন নেতাকর্মীরা।