তাহা বনশ্রীর বাসিন্দা, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছে ২ দিন হলো। হাতে লাগানো স্যালাইন সঞ্চালনের ক্যাণোলা। তার মতো মেঝেতেও রয়েছে অসংখ্য রোগী।
পাশাপাশি স্বজনের এ ছুটাছুটি বলে দেয় আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়।
হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে একজন জানান, '৭-৮ দিন হয়ছে জ্বর সারেনা । তারপর আমি আমার মেয়ের মাথে হসপিটালে আসছি এবং রক্ত টেস্ট করার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ছে।'
হাসপাতালের চিত্র বলছে, বর্ষা মৌসুমের শেষে এসে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ার হার উদ্বেগজনক।
রোগীরা বলছেন, গত ১৫-২০ দিন সিটি করপোরেশনের কর্মীদের এডিসে লার্ভা নিধনে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি পাড়া মহল্লা গুলোতে।
ফুটবল খেলতে গিয়েছিল তারপর বাসায় আসার পর থেকেই জ্বর। এরপর আমার বাসায় ৬ দিন ট্রিটমেন্ট দিয়েছি সুস্থ হয়নাই। তারপর এইখানে আসছি বলেও জানান রোগীর স্বজনদের মধ্যে একজন।
হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বেড়ে গেছে। কিন্তু যাদের অবস্থা বেশী বেড়ে গেছে তাদেরকেই ভর্তি নেয়া হচ্ছে।
মুগদা হাসপাতালে পরিচালক জানালেন এরই মধ্যে সেরোটাইপ-২,৩ আর শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, যা বেশ উদ্বেগের। সামনের দিনে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেলে রোগীর সংখ্যা বাড়বে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম হাসিবুল ইসলাম বলেন, 'বর্তমানে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরে এইসময়ে যে পরিমাণ রোগি ছিল সেই পরিমাণটা এখোনো হয়নায় কিন্তু আসতে আসতে এর প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর লক্ষ্য করে দেখবেন বর্ষাকাল কিন্তু পিছিয়ে গেছে।আরো কিছুদিন যেহেতু বর্ষা থাকবে তাই যতই দিন যাবে এর প্রকট আরো বাড়বে।'
পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০২ জনের। যার মধ্যে সেপ্টেম্বরের প্রথম দশদিনেই মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। বিভাগ হিসেবে আক্রান্তে ঢাকা এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম বিভাগ।