লম্বা লাইন চিকিৎসার জন্য, ওষুধের জন্য। প্রতি পরিবারেই রোগ আক্রান্ত হয়েছেন শিশু কিংবা প্রবীণ সদস্য। এমন দৃশ্য দেখা গেল ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দূর্গাপুরে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভোগান্তির পাশাপাশি বেড়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
বন্যার্তদের মধ্যে একজন জানান, 'খাওয়া দাওয়ার আপাতত কোনো ব্যবস্থা নাই। আমার ২টা শিশু বাচ্চা আছে তাদেরতো খাওয়া লাগবে এইজন্য বাধ্য হয়ে আসছি ত্রাণ এর জন্য বাচ্চাতো বাঁচানো লাগবে।'
ক্ষয়ক্ষতি হয়নাই এমন কেউ বলতে পারবেনা, সবাই ক্ষতিগ্রস্থ বলেও আরেকজন জানান।
এমন অবস্থায় বন্যা দুর্গতদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প চালু করেছে বিমান বাহিনী। দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা ও প্রয়োজন ওষুধ সেবা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান।
বিমানবাহিনীর ডাক্তার বলেন, 'ডায়রিয়া, কলেরা সবধরনের রোগি আসছে। তবে সবথেকে বেশি আসছে চর্মরোগী।'
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে আসছে ত্রান। বন্যা দুর্গতদের বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে ত্রান সহায়তা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, 'বাচ্চার খাবার নাই। শুনতেছি বিমান আসতছে, খাবার দিতেছে এইজন্য ছুটে আসছি।'
এসময় ত্রাণ সামগ্রী বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান।
বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, 'যেখানে নৌকা যেতে পারছিলনা সেখানে আমরা হেলিকপ্টার, প্যারাসুট দিয়ে নেমেছি। আমাদের একটাই চেষ্টা ছিল রিমোট জায়গাগুলোতে যেখানে মানুষ খাওয়া পাচ্ছিল না তাদেরেকে আমরা প্রথমেই সহযোগিতা করব।'