এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় পৌর শহরের সাটিরপাড়া এলাকায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করে নরসিংদীর সমন্বয়কদের একাংশ। সেই সভায় যোগ দিতে দুপুরের আগেই ঢাকা থেকে নরসিংদী পৌঁছায় সার্জিস আলমসহ ১০ সদস্যের একটি টিম।
এরপর নরসিংদী ক্লাবে অবস্থান করে জেলার সমন্বয়কদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ মিটিং শুরু করে। সেখানে সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস। এ সময় সমন্বয়কদের পৃথক তিনটি গ্রুপ তৈরি হয়।
একটি গ্রুপ সারজিস আলমকে সাটিরপাড়া কে কে এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রোগ্রাম করার প্রস্তাব দেন। অপর একটি গ্রুপ নরসিংদী সরকারি কলেজে মাঠ এবং আরেকটি গ্রুপ পৌর ঈদগাহ মাঠে প্রোগ্রাম করার প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে সমন্বয়কদের তিন গ্রুপই সারজিস আলমকে তিন স্থানে নিয়ে যেতে চায়।
সবশেষ কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পেরে বিকেলে ৫টার দিকে সমাবেশে যোগ না দিয়েই নরসিংদী ত্যাগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম। এদিকে, এ ঘটনায় সাটিরপাড়া সমাবেশস্থলে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নরসিংদীতে সভা আয়োজনের সমন্বয়ক শাফায়াত জামিল মাহিরকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে সমন্বয়কদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নরসিংদীর সমন্বয়কদের গ্রুপ একত্রিত হতে পারলে অতিদ্রুতই আবার নরসিংদীতে আসবেন সার্জিস আলম এমনটা তিনি বলে গেছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরের পর থেকেই পৌর শহরের সাটিরপাড়া কালিকুমার ইনস্টিটিউট মাঠে সব শ্রেণি-পেশার ও সব বয়সের মানুষদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিকাল ৪টা নাগাদ সেটি লোকে লোকারণ্য হয়। অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে দেখা যায়।