তিনি বলেন, ‘৬৯ দিন পর ৮ সেপ্টেম্বর চালু হচ্ছে নোবিপ্রবি’র অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম।’
রেজিস্ট্রার দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস এবং পরীক্ষা) আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের যত দ্রুত সম্ভব হলে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ জুন থেকে সার্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করে এবং পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন।
পাশাপাশি আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিকসহ সব কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে একই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার থেকে তা রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে, যা ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ৭ আগস্ট থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা এবং শাটডাউন ঘোষণা করে।
এরপর ১৯আগস্টের দিকে শুরু হয় বন্যার ভয়াবহতা। এসব ঘটনার ফলে দীর্ঘ ২ মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার থেকে নোবিপ্রবিতে ক্লাস শুরু হবে। পরীক্ষার বিষয়ে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।’