২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন করে নিয়োগ দেয়া হয় আউয়াল কমিশনকে। সাবেক আমলা কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নানা বিষয়ে আলোচনার সমালোচনার মুখে পড়েন। বিশেষ করে আইন সংশোধন করে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা, সাংবাদিকদের দায়িত্বপালনে বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই কমিশনের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই এই কমিশনের পদত্যাগের আলোচনা চাউড় হতে থাকে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পরের দিনই পদত্যাগ করতেও চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকে আউয়াল কমিশন।
অবশেষে পরিবর্তিত পরিস্থিতির নিরিখে পদত্যাগের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। সিইসিসহ ৫ কমিশনারই আলাদা পদত্যাগপত্র লিখে তাতে স্বাক্ষর করে রেখেছেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই বিষয়ে ইসি সচিবালয়ে জরুরি বৈঠকের পর সাংবাকিদকের মুখোমুখি হয়ে সিইসি বলেন, ‘বৃহষ্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ডাকা হয়েছে। সেখানেই সবকিছু খোলাসা করা হবে।’
অবশ্য বুধবার থেকেই অনেকটা গা ছাড়া ভাব নিয়ে অফিস করছেন নির্বাচন কমিশনাররা। এমনকি একজন কমিশনার ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে কয়েকদিন আগেই বিদায় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।