যাতে প্রতি সেকেন্ডে ৭৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করছে। এরসাথে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। এদিকে পানি বাড়ায় ৫টি ইউনিট থেকে ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যার পুরোটাই যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রীডে।
কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট(মিনস সি লেভল)। আজ (সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৬টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ ছিল ১০৮ দশমিক ৭০ ফুট। অথচ রুল কার্ভ অনুযায়ী এই সময়ে হ্রদে পানি থাকার কথা ৯৯ দশমিক ২৩ ফুট।
অর্থাৎ এই সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ দশমিক ৫০ ফুট পানি বেশি রয়েছে হ্রদে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাধের উজানে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছেন, হ্রদের উজানে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট চার ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছলে গত ২৫ আগস্ট সকাল থেকে ৬ ইঞ্চি করে ১৬টি জলকপাট খুলে দেয় বাঁধ কর্তৃপক্ষ। পরে যা কয়েক ধাপে বাড়িয়ে সোমবার পর্যন্ত ৪ ফুট করা হয়েছে।