আজ (রোববার, ১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ৬ আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া। তিনি শামসুল হক টুকু, আরিফ খান জয় ও মোহাম্মদ সোহাইলের পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় আহমদ হোসেন ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক। আর জুনায়েদ আহমেদ পলককে বাড্ডা থানায় সুমন সিকদার এবং সূত্রাপুর থানায় ইকরাম হোসেন কাওসার ও ওমর ফারুক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলামও রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৪ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ১২তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলায় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় ২০ আগস্ট আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২০ আগস্ট রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে আহমদ হোসেন ও বনানী এলাকা থেকে সোহায়েলকে আটক করা হয়। পরদিন পল্টন থানায় যুবদল নেতা নবীন তালুকদার হত্যা মামলায় তাদের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
২৫ আগস্ট খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ মোবিন রাতুলকে হত্যাচেষ্টা অভিযোগে চকবাজার থানার মামলায় সৈকতের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।