আজ (শনিবার, ২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে মুক্তা বেগম (২৩) নামে ওই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ১৬ পদাতিকের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘পানিবন্দি পরিবার থেকে জরুরি ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে গর্ভবতী ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।’
ওই নারীর স্বামী শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি পানিতে আটকা পড়ে ঠান্ডায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোনো উপায় না দেখে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পে ফোন দিলে তারা দ্রুত তাকে উদ্ধার করেছেন। আমি সেনা সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নোয়াখালীর আট উপজেলার অন্তত ২০ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলায় ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ।’
এছাড়া বন্যায় এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। অনেকে পানিবন্দি হয়ে নিজের বসতবাড়িতে আছেন। আমরা সবার মাঝে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘দুর্গত অনেক স্থানে এখনো লোকজন পানিবন্দি হয়ে আছেন। এখন খাবারসহ সুপেয় পানি দেওয়া ও পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি মোকাবিলায় আমাদের লোকজন কাজ করছে।’