দেশে এখন
0

তিন বছরে জমানো টাকা বন্যার্তদের ত্রাণে দিলেন ছোট্ট মিম

বন্যার্তদের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দ্বিতীয় দিনের মতো ত্রাণ সংগ্রহ করছে টিএসসিতে। নগদ অর্থ থেকে শুরু করে শুকনো খাবার, ওষুধ, কাপড় দিয়ে সহায়তা করছেন অনেকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলছেন, যতদিন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হচ্ছে ততদিন এ কার্যক্রম চলবে। দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশু মিমের ব্যাংকটি, তার মধ্যে আছে তিন বছর ধরে জমানো সাইকেল কেনার টাকা। কিন্তু বন্যাপীড়িত মানুষের জন্য ছোট্ট শিশুটি নিজের শখ উৎসর্গ করে পুরো ব্যাংকটি-ই তুলে দিলেন ত্রাণ সংগ্রহ করা কর্মীদের কাছে।

শিশু মিম বলেন, 'স্কুলের টিউশনির টাকা দিয়ে আমি ব্যাংকে জমিয়েছি সাইকেল কেনার জন্য। এখন আমার পুরা ব্যাংকটাই দিয়ে দিচ্ছি।'

বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ক্যাম্পে দেখা যায় শিশু, নারী, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সম্মিলন। দুর্যোগের দিনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিপদ কাটিয়ে ওঠার এ এক অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা।

ত্রাণ দিতে আসা একজন বলেন,  'আমরা এখানে ৬শ’ পিচ পানির বোতল এনেছি। ধীরে ধীরে আরও দিবো।'

টিএসসিতে বৃহস্পতিবার ( ২২ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রমে একদিনেই নগদ অর্থ উঠেছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। আজও (শুক্রবার, ২৩  আগস্ট) নগদ অর্থ দিয়ে যেমন অনেকেই সহায়তা করছেন, পাশাপাশি দিচ্ছেন শুকনো খাবার, ওষুধ ও কাপড়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলছেন, যদিও বিপুল পরিমাণ শুকনো খাবার আসছে কিন্তু বেশি দরকার শিশু ও পশু খাদ্য। এছাড়াও দরকার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, চার্জার লাইট, মশার কয়েল ও পাটি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আসলে এখানে দেখতে পেয়েছি ধর্মমত নির্বিশেষে যে যার মতো সাহায্য করছে।’

ইতোমধ্যেই বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বোঝাই বেশ কিছু ট্রাক ও ২০টি বোট পাঠিয়েছে সংগঠনটি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে অনেকেই মুঠোফোনে অর্থ সংগ্রহ করছেন, সেসব ব্যাপারে সতর্ক থেকে সঠিক নম্বরে অর্থ সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

তাদের বিকাশ ও নগদে অর্থ সহায়তা পাঠানোর নম্বর: ০১৮৮৬৯৬৯৮৫৯

রকেট: ০১৮৮৬৯৬৯৮৫৯৭

tech