৩০২ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছিল কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। ৪ বারে ৬ গুণ বেড়ে এখন সেই প্রকল্পের খরচ দাঁড়িয়েছে ১৮শ' ৮৫ কোটি টাকা। এমন অনেক প্রকল্পই আছে, যেগুলোর ব্যয় বাড়ছে, সময় বাড়ছে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই। এমনকি ১ টাকার জিনিস ১০০ টাকায় ক্রয় করার অভিযোগ আছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। আছে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগ। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নতুন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে। ঠিকাদারের যোগসাজশে হয়েছে নানা অনিয়ম। এমন মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। বড় বড় প্রকল্পগুলো কাদের লাভের জন্য নেয়া হয়েছে এবং কেন বারবার ব্যয় বাড়ানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, 'এই মুহূর্তে প্রকল্পগুলো বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিজেদের লাভের জন্য অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যেসব প্রকল্পের কোনো প্রয়োজন নেই, সেগুলো বাদ দেয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক বড় বড় দুর্নীতি আছে। ঠিকাদারদের যোগসাজশে অনেক অনিয়ম হয়েছে।'
উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কোনটি কোন পর্যায়ে আছে, সে বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা। বিশ্বে বাংলাদেশি প্রকল্পেই ব্যয় বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি।