দেশে এখন
0

চার বছরেও অসমাপ্ত মাগুরা-শ্রীপুর বাক সরলীকরণ প্রকল্প

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে মাগুরা-শ্রীপুর বাক সরলীকরণ প্রকল্পের কাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পন্নের দাবি করলেও স্থানীয়দের দাবি কাজ হয়েছে মোটে ৩০ শতাংশ। এদিকে অসমাপ্ত সড়কে চলাচলে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। তবে সড়ক বিভাগের দাবি দ্রুত শেষ হবে অবশিষ্ট কাজ।

২০২০ সালে আগস্টের শুরুতে ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় মাগুরা-শ্রীপুর বাক সরলীকরণ প্রকল্পের কাজ। এর আওতায় আছে প্রায় ৮ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক ও ২০২ মিটার লম্বা সেতু নির্মাণ। কিন্তু চার বছরেও শেষ হয়নি কাজ। উল্টো ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ।

বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণের জন্য ১৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে নির্মাণকাজ। এছাড়া জমি অধিগ্রহণ করা হলেও পাওনা টাকা বুঝে না পাওয়ার অভিযোগ জমির মালিকদের। মাঝ সড়ক থেকেও সরানো হয়নি বৈদ্যুতিক খুঁটি। এতে দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই করতে হচ্ছে চলাচল।

স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। কিন্তু সরকার বলছে ৮৫% কাজ হয়েছে। আর কন্টাক্টাররা টাকা উঠাই নিয়ে চলে গেছে।

এদিকে ৫৭ লাখ ৬২ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো উপকারেই আসছে না।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন জানান, ৪ বছর হয়েছে ব্রিজ হয়েছে কিন্তু এই ৪ বছরের মধ্যে আমি টাকা পায় নাই। এখানে আমার জমি আছে ১৯ শতক।

এদিকে এ প্রকল্পটির স্থবিরতার কারণে পারনান্দুয়ালী এলাকায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয় গড়ে ওঠা মাগুরার একমাত্র সরকারি হাউসিং প্রকল্পটিও আলোর মুখ দেখছে না। যোগাযোগের সুযোগ-সুবিধার অভাবে পুরো হাউজিং কমপ্লেক্সটি একটি পরিত্যক্ত ভূমিতে পরিণত হচ্ছে।

তবে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুতই সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করার আশা সড়ক ও জনপদ বিভাগের।

মাগুরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বলেন, 'বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণের কারণে কিছু অংশে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি আশা করছি ভূমি অধিগ্রহণের সমাপ্ত হলে আমরা সড়কের বাকি কাজ অংশের কাজ অতিদ্রুত শেষ করতে পারবো।'

সড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত কাজ শেষ করে সরকারের কোটি কোটি টাকার প্রকল্পটি যেন দ্রুত সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী হয় সেই আশা সংশ্লিষ্টদের।