হাসিনা সরকারের পতনের পর কর্মবিরতিতে যায় পুলিশ সদস্যরা। সোমবার ( ১২ আগস্ট) থেকে নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরেছেন তারা। সকাল থেকে সীমিত পরিসরে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। জানান, কর্মবিরতি শেষে নিজের কাজে ফেরায় সাধারণের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের একজন বলেন, 'আমাদের সিনিয়র স্যারদের নির্দেশে আমরা কর্মস্থলে ফিরে এসেছি।'
আরেকজন বলেন, 'বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে। সেগুলো ঠিক করতে কিছুদিন সময় লাগবে। পুলিশ ব্ক্সগুলো ভাঙ্গা হয়েছে।'
পুলিশের দায়িত্বে ফেরাকে ইতিবাচক বলছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই বদলে যাবে নগরীর সড়ক ব্যবস্থাপনা।
শিক্ষার্থী একজন বলেন, 'ট্রাফিক কন্ট্রোলে আমাদের হিমশীম খেতে হচ্ছিল কারণ কন্ট্রোল করার জন্য যে কমিউনিকেশন দরকার ছিল সেগুলোতে গ্যাপ রয়েছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ আসায় স্বস্তি ফিরেছে।'
যাত্রীদের একজন বলেন, ‘আমরা চায় শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাক আর ট্রাফিকের দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশ পালন করুক।’
সংকটময় মুহূর্তে ট্রাফিক পুলিশ শূন্য নগরীতে দায়িত্ব পালন করলেও ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরা উচিত বলে মনে করেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আনোয়ার কবির বলেন, ‘রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে যে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দরকার তা থাকবে।’
দেশের সংকটে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং সহযোগী হয়ে যৌথ প্রয়াসে কাজ করার অঙ্গীকার শিক্ষার্থী-পুলিশসহ সাধারণ মানুষের।