মোটরবাইক হারিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় প্রাথমিক অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহাগ হাসান সানি। ২৪ ঘণ্টা পেরোতেই মোটর সাইকেল খুঁজে বের করে পুলিশ।
শিক্ষার্থী সোহাগ হাসান বলেন, 'আজকে ফোন করে বললো ডকুমেন্ট নিয়ে আসতে। এসে দেখলাম বাইক পেয়েছে। এত দ্রুত সেবা দিবে পুলিশ এইটা আশা করিনি। এইরকম পুলিশই তো চাই।'
মোটর সাইকেলটি মালিকের পরিচয় নিশ্চিত হতে খুটিয়ে দেখেন সব কিছু। মালিকানা নিশ্চিতের পরই পুলিশ মোটরসাইকেলটি ফিরিয়ে দেয় প্রকৃত মালিকের কাছে।
রাজধানীর আক্রান্ত হওয়া থানাগুলোর মধ্যে অন্যতম মোহাম্মদপুর থানা। যত্রতত্র এখনো পড়ে আছে আগুনে পুড়ে যাওয়া থানার মালামাল। কীভাবে চলছে কার্যক্রম?
পুলিশের একজন সদস্য বলেন, 'মানুষ বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছে। জিডি করছে। আমরা আইনের সেবা দিচ্ছি। আমাদের এখানে ১২৫ জন সদস্য ছিল তাদের সবাই জয়েন করেছে।'
শুধু এই থানা নয় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছে রাজধানীর ৫০টি থানার প্রায় ৩৭ হাজার পুলিশ সদস্য। এরই মধ্যে অপরাধ দমনের কার্যক্রম শুরু করেছে তারা।
অভিযোগ নিয়ে থানামুখী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তেজগাঁও থানায় কারওয়ান বাজারের দুই ব্যবসায়ী এসেছেন অভিযোগ নিয়ে। কী ধরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে তাও জানালেন দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা।
আরেকজন সদস্য বলেন, 'সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০টা জিডি হয়েছে। মানুষ আসলে যে ধরনের সেবা চায় তাই আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো।'
পুলিশ আর রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে চায় না এমনটা সাফ জানিয়ে দিলেন সাধারণ সদস্যরা।
পুলিশের একজন সদস্য বলেন, 'দলীয়করণের কারণের সাধারণ পুলিশের ওপর এমন হামলা হয়েছে। এইটা সাধারণ পুলিশের দোষ না।'
বাংলাদেশ পুলিশের ১১ দফা দাবি আন্দোলনের দীর্ঘ কর্মবিরতির পর যশোর জেলার অন্যতম থানা মনিরামপুরে কাজে যোগদান করেছেন সেখানকার পুলিশ সদস্যরা। সকালে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদের নেতৃত্বে উপজেলাব্যাপী শোভাযাত্রা ও আনন্দ র্যালিরও আয়োজন করা হয়।
এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, এই থানায় পুলিশের যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সবাইকে পুলিশিং সেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এদিন ফরিদপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা বিকেল থেকে শুরু হয়। পোশাক পরেই কাজে ফিরেছেন ট্রাফিক পুলিশের সকল সদস্য।
এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ থানা, মৌলভীবাজারের ৭ থানা, কুড়িগ্রামের ১১ থানা, ময়মনসিংহ, নওগাঁ, বান্দরবানসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় কাজে যোগ দিয়েছেন।
এদিন ব্যাটেলিয়ন আনসারের আহত সদস্যদের ঘুরে দেখতে রাজধানীর সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে তিনি সময় বেঁধে দেন অবৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য।
কোনো ধরণের অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না বলেও জানান অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের এই উপদেষ্টা।