দেশে এখন
0

আইজিপির ২৪ ঘণ্টা পার হলেও দেখা নেই পুলিশের, কর্মস্থল ফাঁকা

দেখা নেই পুলিশের। কর্মস্থল ফাঁকা। পুলিশ প্রধানের বেধে দেয়া ২৪ ঘণ্টা পার হলেও রাজধানীর থানাগুলোত এখনও যোগ দেয়নি কোনো পুলিশ। আর ট্রাফিকের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের হাতে। জীবনের নিরাপত্তাসহ ১১ দাবি পূরণ হলেই কেবল কর্মস্থলে ফিরে যেতে রাজি তারা।

গুলির শব্দে কন্ঠ রোধের চেষ্টা। মৃত্যু আর্তনাদ আর চিৎকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী-সমর্থকদের। বন্ধু পুলিশ আওয়ামী লীগ সরকার বাঁচাতে মুখোমুখি শিক্ষার্থী-সাধারণ মানুষের। ব্যর্থতার ফলাফল প্রতি থানায় হামলা। এখন কর্মস্থলে যেতেই ভীতি পুলিশের।

পুলিশ সদস্যদের একজন বলেন, ‘এইরকম অবস্থায় সরকার বা আইজিপি  আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তাহলে কিভাবে আমরা কাজে যোগদান করবো।’

মুখ ফুটে বললেন দীর্ঘদিনের অপূর্ণতার কথাও।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই পুলিশ সদস্য বলেন, 'পুলিশ তো দাসত্বের কিছু নাই। তারা জনগণের জন্য কাজ করবে। কিন্তু  উপরের কর্মকর্তারা নিজেরা একেকজন ১০ জন থেকে ১৫ জন দিয়ে খাটায় তাহলে তো এই পুলিশ ডিপার্টমেন্ট চলবে না।'

এরই মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে পুলিশ প্রধান। নির্দেশ এসেছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগদান করার।

রাজধানীর থানা ঘুরে দেখা গেলো কেউ নেই কর্মস্থলে। প্রতি থানায় নিয়োজিত শুধু ব্যাটেলিয়ান আনসারের ৮ সদস্য পাহারা দিচ্ছে।

ব্যাটেলিয়ান আনসারের একজন সদস্য বলেন, 'আমাদের কেউ কিছু বলে নাই। চাবি ছিল সেনাবাহিনীর কাছে তারা আমাদের কাছে দিয়েছে এখন। তারা বাহিরে ডিউটি করছে আমরা ভিতরে করছি।'

শুধু থানার পুলিশ নয়। কর্মস্থলে যোগ দেয়নি ট্রাফিক পুলিশও । নিশ্চয়তা কোথায় জীবনের?

পুলিশ হত্যার বিচারসহ ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে সকল সদস্য। জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে ফিরবেন না তারা।

কর্মকর্তাদের দেখা নেই। ফোন ধরছে না উর্ধতন কর্মকর্তারাও। সোজাসাপ্টা কথা কোন রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে আর কাজ করতে চায় না বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।

tech