ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'নগরবাসীকে কারফিউ চলাকালীন সময় ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি কেউ ঘর থেকে বের হয় তবে আমরা প্রচলিত আইনি ব্যবস্থা নিব।'
বিদেশেগামীদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'কারফিউয়ের সময় কিছু জরুরি সেবা চালু থাকে। তাদের মধ্যে বিদেশগামীরা বিমানবন্দরে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তার টিকিট পাশ হিসেবে পরিগণিত হবে।'
তিনি বলেন, 'আমরা যথেষ্ট সহনশীলতা প্রদর্শন করেছি। এ পর্যন্ত ডিএমপির সাড়ে ৩শ' পুলিশ আহত এবং ৩ জন নিহত হয়েছে। আমরা কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব না, সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকার আটককৃত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিয়েছে। তারপরও জামায়াত-শিবির ভয়াবহ নাশকতা শুরু করেছে। তারা মহানগরীর শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি, প্রেসক্লাব, বাংলা মোটর, মোহাম্মদপুর, কাজলা ও উত্তরায় নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায়।'
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, 'জঙ্গি চক্র কখনো নিজস্ব পোশাকে থাকে আবার কখনো অন্য দলের নামাবলি গায়ে দিয়েও আসে। আমরা এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছি। তারা পুলিশ ও সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। কোনো নাশকতাকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঢাকা মহানগরে কোনো সন্ত্রাসী-জঙ্গির স্থান হবে না।'
শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা ঢাকাসহ সারাদেশে নজিরবিহীন অরাজকতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।