চিকিৎসকের কথায় সাড়া দিলেও মুখ ফুটে কোন কিছুই বলতে পারছেন না এই তরুণ। কি তার নাম, কার সন্তান, কোথায় বাড়ি, ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর, কোথায় কিভাবে আহত হয়েছেন কিছুই যেন মনে নেই তার। তবে চিকিৎসকের প্রশ্নে মাঝে মাঝে চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় তরুণের মাথার সামনে পেছনে গুলি লাগে। গুলিতে বাম চোখের আলো নিভে যায় চিরতরে। ক্ষত বিক্ষত হয় মাথার পেছন পাশ। গত ১৮ জুলাই সহিংসতার সময় আশপাশের মানুষ প্রাণে বেঁচে যাওয়া তরুণকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যান। তাৎক্ষণিক চিকিৎসার পরদিন অপারেশন করে ডিএমসির বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সুরজিত হালদার বলেন, তার চোখের ভিতর দিয়ে গুলি ডুকে মাথার ভিতর দিয়ে বের হয়ে যায়। কৃত্রিম শ্বাস- প্রশ্বাস যন্ত্র দেয়া হয় ১৯ তারিখ থেকে।
আহত রোগীর স্মৃতিশক্তি সম্পূর্ণ ফিরবে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন চিকিৎসকরা।
রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা, ওষুধ, খাবারসহ সবকিছুর দেখভাল করছেন পাশের রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের স্টাফরা।
লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া এই তরুণের পরিচয় জানতে দীর্ঘ ১৩ দিন ধরে নানা চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।