এ সময় তিনি বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা সমুন্নত রাখতে এবং আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদান ও সহযোগিতারও প্রশংসা করেন। নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আইসিসি প্রসিকিউটর বলেন, 'বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতা ও মানবিকতা দেখে আমি মুগ্ধ। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাত বছর ধরে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে তা আমি অনুধাবন করি।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে গাজা, ইউক্রেন এবং রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসি প্রসিকিউটরের অবস্থান এবং নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুকে সামনে এনে তিনি বলেন, 'অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুর ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বানের প্রতি সমর্থন এবং মনোযোগ হ্রাস পাচ্ছে এবং এটিকে কেবলমাত্র বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।'
বাংলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির ফলে বৃহত্তর আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ এবং বিপুল নিরাপত্তা ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী।
প্রসিকিউটর করিম খান বলেন, 'রোহিঙ্গাদের দুর্দশার স্থায়ী সমাধান তখনই হবে, যখন মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে যাতে তারা শান্তিতে তাদের স্বদেশে ফিরে অন্য সব জাতিসত্তার মতো মিয়ানমারে অবাধে চলাচল করতে পারে।'
রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য যা যা করা দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি দেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, ভাংচুরের বিষয়ে প্রসিকিউটরকে অবহিত করেন এবং সুবিধাজনক সময়ে তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।