স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরে আসার পরই দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত-শিবির এ নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আড়ালে তারা পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাদের টার্গেট করে আক্রমণ চালিয়েছে। বাড়ি থেকে শুরু করে কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে।’
বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেয়া হয়েছে। এ ভবনে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক নিদর্শন তথ্য সংরক্ষিত ছিল। আগুন দিয়ে সেগুলো বিনষ্ট করা হয়েছে। এ সহিংসতায় গান পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে।’
আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি নিক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা বাধ্য হয়ে ফায়ার ওপেন করেছে। আন্দোলন শুরুর পর থেকে পুলিশ ধৈর্য ধরে ছিল। তাদের ওপর হামলা হয়েছে, অনেক সদস্য হতাহত হয়েছে। যখন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতি শুরু হয়, তখন সেটি রক্ষায় পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়।’
কারফিউ কতদিন থাকবে— এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সে হিসেবে বিভিন্ন জেলায় কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেয়া হবে।’
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নেয়ার কারণ- তারা নিজেরাই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পরিবারের কাছে আশঙ্কার কথা বলেছে তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পুলিশ যদি ঝুঁকিমুক্ত বলে তাহলে ছেড়ে দেয়া হবে।’