স্থবিরতা ভেঙেছে রাজধানী ঢাকার। সচল হয়েছে গাড়ির চাকা। কারফিউ শিথিল আর সাধারণ ছুটি শেষে বেড়েছে ব্যস্ততা।
সারি সারি গাড়ির আনাগোনা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে। টোল প্লাজায় ধীরগতির কারণে এই পথে চলা গাড়ির জট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
সম্প্রতি আন্দোলন-নাশকতায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হয় যাত্রাবাড়ী টোল প্লাজা। পুড়ে যায় এখানকার সবক'টি বুথ। যার কারণে অ্যানালগ পদ্ধতিতে চলছে টোল আদায়। অটোমেটিক ডিজিটাল মেশিন পুড়ে যাওয়ায় হাতে হাতেই চলছে লেনদেন। এমন বাস্তবতায় টোল আদায়ে সময় লাগছে আগের চেয়ে বেশি। গাড়ি চালকদেরও অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ।
একজন গাড়ি চালক বলেন, 'টোল পুড়ে ফেলার কারণে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। আগে মেশিনে তাড়াতাড়ি হয়ে যেতো। এখন তো সব হাতে টোল দিতে হচ্ছে। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।'
কর্মকর্তারা জানান, এখানকার টোল আদায়ের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় লোকবল বাড়িয়ে টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী টোল প্লাজার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ ইমরুল বলেন, 'গাড়িগুলো দ্রুত পাস করার জন্য আমরা লোক বাড়িয়ে দিয়েছি। এটা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। আমাদের পাবলিক সার্ভিস দিতে হবে। সবাই চেষ্টা করা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এটা আমরা ঠিক করবো।'
আগুনে পোড়া টোল প্লাজা ক্ষতি কাটিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরবে এই অপেক্ষায় আছে এখন এই পথের চালক-যাত্রীরা।