আজ (সোমবার, ১৫ জুলাই) বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন শেষে ঢাবি ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, 'গতকাল মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে 'তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার' স্লোগান দেয়ার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। এ ধরনের স্লোগানধারীদেরকে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। নিজেকে রাজাকার, রাজাকার স্লোগান দেয়ার অর্থ হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে তাদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল।'
আল মামুন বলেন, 'রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন করে এদের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি ও বেসরকারি সকল চাকুরিতে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে রাজাকার শ্লোগানধারীদেরকে চিহ্নিত করে ছাত্রত্ব বাতিলসহ গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মেধা কোটার নাম পরিবর্তন করে সাধারণ কোটা নামে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন।'
সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় মেয়ে যখন রাজাকার, রাজাকার বলে স্লোগান দিচ্ছে ঠিক তখনি আমার মানসপটে ভেসে ওঠে ১৮ বছরের জনৈকা রূপবতী ছাত্রীর উলঙ্গ লাশ, পঁচা-ফোলা রূপসীর উলঙ্গ দেহ। নিজেদের রাজাকার বলে পরিচয় দিতে এসব ছেলে-মেয়েদের লজ্জা হয় না?'
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, 'এই রাজাকাররা যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ গণহত্যা চালিয়েছিল। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের রাজাকারদের সহায়তায় হত্যা করা হয়েছিল, ধর্ষিত হয়েছিল রোকেয়া হলে ছাত্রীবোনেরা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছেলেমেয়েরা নিজেদেরকে রাজাকার বলে স্লোগান দেয়। কতটা দেশদ্রোহী ও বেহায়া হলে এরা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক স্লোগান দিতে পারে। এদেরকে চিহ্নিত করে ছাত্রত্ব বাতিল করে আইনের আওতায় আনতে হবে।'
ঢাবি শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা বলেন, 'বৈষম্য দূর করার জন্য নারী কোটার অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মেয়ে না বুঝে নারী কোটার বিরোধিতা করে নিজেদের সুযোগ হারাচ্ছেন। বিগত বিসিএসে নারী কোটা না থাকার কারণে ছেলেরা সব ভালো ক্যাডার নিয়ে গেছেন। কিছু নারী শিক্ষা বা অন্য ক্যাডার হতে পারলেও সেটার সংখ্যা পূর্বের তুলনায় সামান্য। নারী কোটা না থাকার কারণে ঢাবির বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীরা আরও বঞ্চিত হচ্ছেন। বিগত বিসিএসে তাদের সংখ্যা নেই বললেই চলে।'