সরকারি দপ্তরের বছরব্যাপী কাজের পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কেমন হবে তা নির্ধারণ করতে করা হয় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বা এপিএ। রাজনৈতিক দলের ইশতেহার অনুযায়ী সরকারি অফিসগুলো প্রধান কার্যালয় থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কোনোভাবে কাজ করবে বা কত সময়ে তার ধারণা পাওয়া যায় এই চুক্তিতে। বর্তমানে প্রায় ২৬ হাজার দপ্তর এই চুক্তির আওতায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের প্রধানরা গেল বছরের কর্ম তথ্য তুলে দেন। এসময় ব্যক্তি ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। যার প্রথম স্থান অর্জন করে নিলো বিদ্যুৎ বিভাগ।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আগালে অবশ্যই উন্নতি করা সম্ভব।' আওয়ামী লীগ সরকারের ইশতেহার মেনেই উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি।
এসময় সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি রোধে সরকারের ভাবমূর্তির চিন্তা না করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, 'সব মন্ত্রণালয়ে নিচের দিকেও অনিয়ম দুর্নীতি হয়। সেটি নজরদারিতে রাখতে হবে। স্বচ্ছতার সাথে কাজ করলে পুরস্কৃত হবেন।' সরকারের কাজগুলোতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হবে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে কিনা তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’
এসময় তিনি কৃচ্ছ্রতা সাধনের পরামর্শ ও দিয়ে বলেন কর্মক্ষেত্রে যে অর্থ ব্যয় হয় তার স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তব্যের শেষ ভাগে কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজেদের রাজাকার বলে দাবি করায় কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানলে এমন বলতে তারা লজ্জা পেতো।’
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সচিবদের নিজেদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করারও আহ্বান জানান।