আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের কাছে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় আমাদের জন্য প্রাথমিক বিজয়। বাংলাদেশে সরকারি চাকুরিতে সকল গ্রেডে কোটা তুলে দিতে হবে এবং মেধাভিত্তিক বিচারে চাকুরিতে নিয়োগ দিতে হবে। আমরা আর পরিপত্র-পরিপত্র খেলা চাই না। কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।’
এ সময় চলমান আন্দোলনে অংশ নেয়া সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানান তারা।
নিজেদের দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জরুরি সভা ডেকে কোটা সংস্কারের আইন পাস করতে হবে। আইন পাস না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকবো। এ আন্দোলনের সাথে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।’
আন্দোলনকারী এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল বিকেল ৪টায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।’
এর আগে আজ চতুর্থদিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঘোষিত কর্মসূচি পালনে বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে সমবেত হয়। এ ঘটনায় আশপাশের এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল।
রাজধানীর নিউমার্কেট মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ কয়েকটি স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মাঝে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এ আন্দোলন ঠেকাতে বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় কোটা আন্দোলনকারীদের সতর্ক করে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সংগঠনের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি জানান, আন্দোলনের নামে রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হলে ছাত্রলীগ কঠোর অবস্থানে থাকবে।