আজ (শনিবার, ২২ জুন) দুপুরে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন দু'দেশের শীর্ষ নেতারা। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয় ১০টি সমঝোতা স্মারক। যার মধ্যে ৩টি সমঝোতা নবায়ন হয়৷ যেখানে স্থান পায় ডিজিটাল পার্টনারশিপ, গ্রিন পার্টনারশিপ, সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো সমঝোতা নবায়ন, ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, রেল সংযোগ, সমুদ্র গবেষণা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন, মৎসম্পদের উন্নয়নে সমঝোতা নবায়ন ও সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় সমঝোতা হয়।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা। সমঝোতা স্মারকের বিস্তারিত তুলে ধরেন তারা। এসময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার। বিগত ১০ বছরে আমরা দুই সরকার মিলে জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি।
ভারত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভারসাম্য রাখতে সেপা চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নরেন্দ্র মোদি। জানান, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনার জন্য শিগগিরই ভারতের একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
এসময় ভারতে বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রত্যাশীদের ই মেডিকেল ভিসা চালুর আশ্বাস দেন মোদি। জানান, রংপুরে উপ-দূতাবাস চালু করবে ভারত।
বাংলাদেশের যোগাযোগ, আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভারতের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সফরের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের নবযাত্রা শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে দু'দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পৃক্ততার পথ ও কর্মপন্থা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
দুই দেশ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন ও দারিদ্র্য বিমোচনে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।