এবার রাজধানীতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিএসসিসি মেয়র আর ৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
গতকাল (সোমবার, ১৭ জুন) নগরপিতাদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দুপুরের পর থেকে মাঠে নামে ভারী যন্ত্রপাতি আর পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
বেলা দুইটার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এক নম্বর ফটকের বিপরীত পাশে বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। শুরু হয় বিপুল পরিমাণ কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ। ডিএনসিসিতে ৯ হাজার ৩৩৭ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ করেছে।
ইতোমধ্যে ১০ লাখ ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ২৬৮০ বস্তা ব্লিচিং পাউডার,স্যাভলন ৯০০ ক্যান, টুকরী ৭ হাজারটি,ফিনাইল ১৩০০ লিটার। আর বিরামহীন কাজ করছে ৫২০টি পরিবহন।
মেয়র আতিক বলেন, '১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী সারাদিন মাঠে ছিল। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা কাজ করেছে। প্রতিটি অঞ্চলকে ভাগ করে কাজ করেছি।'
রাত ৮টা পর উত্তর সিটি ৩৬ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা বেশিরভাগ স্থান থেকেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। অল্প যেটুকু বাকি ছিলো সেটিও অপসারণের কাজ চলছে।
এদিকে দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হল থেকে পরিচালিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কাজের তদারকি করেন মেয়র ফজলে নূর তাপস।
দক্ষিণ সিটি মেয়রের ২৪ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমানতালে বর্জ্য অপসারণের কাজ চলে ৭৫টি ওয়ার্ডে। এক একটি ওয়ার্ডে ৬০ জন করে নিয়োজিত ছিল ময়লার ভাগাড় পরিষ্কার করার জন্য।
দক্ষিণের বাসিন্দারা বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের যে অগ্রগতি, তাতে মনে হচ্ছে মঙ্গলবার দুপুরের আগেই কাজ শেষ হবে। এছাড়া অনেকের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তাই সহজেই দ্রুত বর্জ্য পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া করপোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিও আরেকটি কারণ।
এবার দুই সিটিতে ২৬ থেকে ৩০ লাখ পশু কোরবানি করা হয়েছে।